৩০০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এক গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি ভেষজ
অশ্বগন্ধা বা Winter Cherry
অশ্বগন্ধা এর বৈজ্ঞানিক নাম ওইদেনিয়া সোমনিফেরা (Withania Somnifera)। সোমনিফেরা একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ ঘুমের উপর প্রভাব বিস্তারকারী।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অশ্বগন্ধা নিয়মিত খেলে অশ্ব অর্থাৎ ঘোড়ার মতো শক্তিবৃদ্ধি হয়। তাই অসাধারণ কার্যকারিতার জন্য অশ্বগন্ধা ‘ইন্ডিয়ান জিনসেং’ নামেও পরিচিত।
এখনও পর্যন্ত অশ্বগন্ধার নির্যাসে ৩৫ ধরণের ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান আছে বলে জানা গেছে। অশ্বগন্ধায় আছে অ্যালকালয়েড, স্ট্রেরয়ডাল ল্যাক্টনস, ট্যানিনস, স্যাপোনিনস এই সব উপাদান যা ক্যান্সার, স্ট্রেস, বার্ধক্যজনিত প্রভাব, যৌনক্ষমতা সংক্রান্ত ও প্রদাহ জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
এছাড়া উইথানন, উইথাফেরিন এ, ডি, ই , উইথাননোলাইড হল কিছু বায়োঅ্যাক্টিভ পর্দাথ যা অশ্বগন্ধায় থাকে।
অশ্বগন্ধার সব ধরণের গুণের কারণ হল এতে উপস্থিত একধরনের ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান। গবেষণায় জানা গেছে সঠিক পরিমাণে অশ্বগন্ধা ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও কার্যকরী।
গবেষকদের মতে নিয়মিত অশ্বগন্ধা খাওয়ার ১১টি উপকারিতাঃ
ইমিউনিটি সিস্টেম ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় অশ্বগন্ধা একটি প্রকৃত বার্ধক্য প্রতিরোধী ভেষজ।
নারী ও পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ইনসোমনিয়া বা ঘুমের সমস্যার প্রাকৃতিক ও অর্গানিক সমাধান। অশ্বগন্ধা মনকে শান্ত করে, যা শরীরের কর্টিসলের মাত্রা কমায়।
পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি প্রমাণিত যে অশ্বগন্ধা শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমান ও শুক্রানু সংখ্যা বাড়াতে পারে। গোপন ক্ষমতা এবং ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
মানসিক চাপ, অবসাদ ও দুশ্চিন্তা কমাতে এবং মানসিক চাপ সংক্রান্ত সমস্যা যেমনঃ উচ্চ–রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের পরিমান বাড়ায়। এটি হার্টের পেশি শক্তিশালী করে হৃদযন্ত্রের সামগ্রিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে রক্ত জমাট বাঁধে না এবং হার্টের ওপর চাপ কমে।
অশ্বগন্ধা অসাধারণ রোগ প্রতিরোধী। সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধী শক্তি বাড়িয়ে তোলে। এতে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস টিউমার কোষকে ধ্বংস করতে ভূমিকা রাখে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে চুলকে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে অশ্বগন্ধা খুবই উপযোগী বলে মানা হয়।
ঠান্ডা কাশি নিরাময়ে ভীষণ কার্যকরী। পুড়ে যাওয়া স্থানের জ্বালা উপশম করে অনেকাংশেই।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আর্থ্রাইটিস সারাতে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যথার তীব্রতা কমাতে খুবই উপযোগী।
হাড়কে শক্তিশালী রাখে, মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে, এবং পেশী বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন গবেষণার থেকে জানা যায় যে, অশ্বগন্ধা ব্যবহার করলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
অশ্বগন্ধা থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে নীচের নিয়মটি মেনে চলুনঃ
সকালে আধা চা চামচ এবং রাতে ঘুমানোর প্রায় ৩-৪ ঘন্টা আগে আধা চা চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়া ১ কাপ কুসুম গরম পানি, চা, কিংবা দুধের সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। ব্যস, হয়ে গেলো!
অসাধারণ কার্যকারিতার জন্য অশ্বগন্ধা কে ইন্ডিয়ান জিনসেং বলা হয়। তাই ছোট বাচ্চা এবং গর্ভবস্থায় নারীদের খাওয়ানোর ব্যাপারে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। ❌
BanglaPure এর অশ্বগন্ধা পাউডার এর বিশেষত্ব কোথায়?
কেবলমাত্র ভার্জিন গ্রেডের অশ্বগন্ধাকে বাছাই ও প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে মেডিসিনাল গুণাবলি সমৃদ্ধ অশ্বগন্ধা পাউডার তৈরি করা হয়।
এতে কোন ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় উপাদানের উপস্থিতি নেই, কারণ আমরা শুধুমাত্র অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়া ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করি না।
প্রাকৃতিকভাবে শতভাগ অর্গানিক, এবং গুণগতমান নিরীক্ষণের পর প্যাকেজিং হওয়ায় আমাদের অশ্বগন্ধা পাউডার এর কার্যকরীতা অতুলনীয়। মাত্র ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আপনি এর কার্যকারিতা অনুভব করতে পারবেন।
এই মুহূর্তে আপনার প্রয়োজন ২০০ গ্রাম অর্গানিক অশ্বগন্ধা পাউডার। দেড়-দুই মাস সময়ে এর বেশি পরিমাণ প্রয়োজন হবে না।
ক্যাশ অন ডেলিভারি তে অর্ডার করুন মাত্র ৫৬৫/- টাকায়।
✅ ফুল কোর্স এর সঠিক পরিমাণঃ ২০০ গ্রাম পাউডার।
✅ শুধুই প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ। অর্থাৎ শতভাগ নিরাপদ যেহেতু অন্য কোন উপাদান মিশ্রিত করা হয় না।
✅ প্রান্তিক এলাকা থেকে সংগৃহীত।
✅ নিজস্ব তত্বাবধানে প্রস্তুতকৃত এবং ফুড-গ্রেড সিলড এয়ারটাইট প্যাকেটজাত করা।